পরিবেশবাদী সংগঠন অরণ্য এর উদ্যোগে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে গ্যাটসবি টেক্স এর সহযোগিতায় নবজাতক শিশুদের অভিভাকদের মাঝে একটি করে ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টিকা ও সেবা নিতে আসা ০-১ বছরের নবজাতক শিশুর অভিভাবকদের মাঝে এই ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। অরণ্যের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রচার সম্পাদক জামিউল ইসলাম জুহানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মো: শহিদুল্লাহ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ মোঃ আল-আমিন মাসুদ, অরণ্যের কোষাধ্যক্ষ জামিউল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, উৎসর্গ নার্সিং ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, অরণ্যের উপদেষ্টা মো: নুর আমিন, অরণ্যের উপদেষ্টা জুলকার নাঈন জুলিয়া প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মো: শহিদুল্লাহ বলেন, নবজাতক শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে ফলদ বৃক্ষ বিতরণ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অরণ্য। সংগঠনটি নিঃসন্দেহে একটি ভাল কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। আশা করি তাদের এই কর্মসূচী অবহ্যাত
থাকবে।
অরণ্যের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান বলেন, আগামীর নতুন প্রজন্ম জন্য সুন্দর ও সবুজ পৃথিবী গড়তে হলে আমাদের বেশি করে বৃক্ষ রোপণ করতে হবে এ জন্য আমরা কুড়িগ্রাম জেলার নবজাতক শিশুর
অভিভাবকদের মাঝে বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচী উদ্ভোধন করলাম। এই বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচী কুড়িগ্রাম জেলায় একমাস ব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অবহ্যাত থাকবে।
নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে রিকশা চালানো সেন্টুর পাশে দাঁড়ালেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক
ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো :
ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে চালাতেন সেন্টু তবে আর রিকশা চালাতে হবে না। এবর তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টুর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ডিসি। এসময় তিনি এসব কথা জানান।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘সেন্টুর চিকিৎসার ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। চিকিৎসক বলেছেন, অক্সিজেন কনসালট্যান্ট মেশিনটা এখন সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। তাই এ মেশিনটা তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেন্টুকে আর রিকশা চালাতে হবে না, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। তাই রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গ, সেন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। গত দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার প্রতিদিন তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে। এ অবস্থায় রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর খরচ উপার্জন করছিলেন সেন্টু।
কাজিপুর পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক বাতি স্থাপন উদ্বোধন
মোঃশফিকুল ইসলাম কাজিপুর প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পৌরবাসীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বিপনি বিতান এলাকায় ৩০০ মিটার ড্রেন নির্মাণ ও পৌরবাসির সেবার মান বৃদ্ধি ও নাগরিকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রধান সড়ক, উপজেলা পরিষদ এবং আবাসিক এলাকায় ৩০০ সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) পৌর এলাকার আলমপুর চৌরাস্তায় উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার, পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার, পিআই ও একে এম শাহা আলম মোল্লা,
পৌরসভার কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম কুড়ান, রিপন মাহমুদ , সমাজসেবক কবির তালুকদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কাজিপুর পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক আব্দুল হান্নান তালুকদার জানান, কুয়েত ফান্ড হতে প্রায় সোয়া দুই কোটি ব্যায়ে ৩০০ মিটার ড্রেন ও দুটি পাকা রাস্তার কাজ চলমান আছে। এতে আলমপু্র চৌরাস্তা, পৌরসভা ভবন এবং আশপাশের জনবহুল এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার সকল ওয়ার্ড এই সুবিধার আওতায় আসবে।
কাজিপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড হতে পৌর এলাকার উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাস, আবাসিক এলাকা, প্রধান সড়ক এবং জনবহুল বসতিতে সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সোলার এবং বিদ্যুৎ চালিত বাতি রয়েছে। শুভ উদ্বোধনকালে পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার জানান, পৌরবাসীর সুবিধার্থে এই প্রকল্প গ্ৰহণ করা হয়েছে, বেরিপোটল, পলাশবাড়ি, উপজেলা সদর এলাকা এই সুবিধা পাবে, পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার সকল সড়কে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
রাণীশংকৈলে বিনাধান-২৪’র প্রচার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।।
বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বোরো ধানের জাত “বিনাধান-২৪” এর প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁ হাড়িয়া ব্লকে বৃহস্পতিবার(১৮মে) বিকালে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উপকেন্দ্রের আয়োজনে এবং রাণীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত কৃষক মাঠ দিবসে সহকারি অধ্যাপক মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপ-পরিচালক খামারবাড়ি ঠাকুরগাঁও সিরাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন,বিনা- উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মোহাম্মদ আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, কৃষক রশিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হোসেনগাঁও ব্লকের উপ সহকারি কৃষি অফিসার সৈয়দা রুমনাজ প্রমুখ।
প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছাড়াও মোবাইল ফোনে মাঠ দিবসে কৃষকদের উদ্দেশ্যে বিনাধান-২৪ এর গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য দেন, মহা পরিচালক বিনা ময়মনসিংহ ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ও প্রধান গবেষক বিনা-২৪ ময়মনসিংহ
ড. ইমতিয়াজ-উদ্দিন।
এছাড়াও উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মঞ্জুর আলম তালুকদার, সাংবাদিকবৃন্দ ও শতাধিক কৃষক- কিষাণী উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা বলেন, বিনাধান-২৪ বোরো ধানের একটি সম্ভাবনাময় জাত। ধানগাছ সহজে হেলে পড়ে না। পাকা অবস্থায়ও ডিগ পাতা সবুজ থাকে। সেজন্য ধান চিটা হওয়ার তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। ফলন বেশি হয়। প্রতি বিঘায় ২৮ মন। তাই এ জাতের ধানের আবাদ সম্প্রসারণ করা দরকার।
সরাইলে ফয়সাল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
মোঃ রিমন খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মোল্লা’র নাতী সরাইল সরকারি ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্র ফয়সাল হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে ) বেলা ১১টার দিকে এলাকাবাসী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, সরাইল সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে ফেষ্টুনসহ কুট্টাপাড়া এবং কালীকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে উপজেলা সদরে উচালিয়াপাড়া মোড় থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলে মামলার দুই আসামি চেয়ারম্যান ছায়েদ হোসেন ও ব্যবসায়ী জীহাদের ফাঁসির দাবীতে স্লোগান দেয়া হয়। পরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনের প্রধান সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। চল্লিশ মিনিট অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি থেকে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে নিহত ফয়সালের বাবা রাকিব মিয়া বলেন, কালীকচ্ছ বাজারের দাঙ্গায় ধর্মতীর্ণ গ্রামের সন্ত্রাসীদের শর্টগানের গুলিতে আমার ২০ বছরের ছেলে ফসয়াল মিয়া নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। আমার ছেলে নিহত ফয়সাল মিয়া সরাইল সরকারী কলেজের ছাত্র ছিল এবং কালীকচ্ছে থেকে তার মামাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করত। ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে ঝড়ে গেছে একটি নিষ্পাপ প্রাণ। বাবা হিসাবে এই কষ্ট সহ্য করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা আমার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। ফয়সালের নৃসংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় ধর্মতীর্থ গ্রামের চিহ্নিত দাঙ্গাবাজ ৩০ জন সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।আমার ছেলে হত্যাসহ চাঞ্চল্যকর দুটি মামলার আসামিরা অদৃশ্য শক্তির সহায়তায় কালীকচ্ছ বাজারে প্রকাশ্যে অবস্থান করছে। তাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ফয়সালের বাবার দাবী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। গ্রেপ্তার কাজে কোন পুলিশ সদস্যের অবহেলা থাকলে তার বিরূদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে কালীকচ্ছের বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। উক্ত দাবীগুলি পূরণ নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি গহণ করতে বাধ্য হবো।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফয়সাল হত্যা মামলার ৩ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন জামিনে এসেছেন। বাকি দুইজন জেলহাজতে আছে। সন্ধিগ্ধ অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ, ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে দুই গ্রামবাসীর সংর্ঘষে ফয়সাল আহাম্মেদ নামে এক যুবক নিহত এবং পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে বছরে ১০০ কোটি টাকার সবজি উৎপাদন হয়
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
নানা জাত ও স্বাদের সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার
গড়েয়া ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম। বছরে ১০০ কোটি টাকার সবজির উৎপাদন হয় এ
গ্রামগুলোতে।
গ্রামগুলোতে বেশিরভাগ পরিবার এখন সবজি চাষের সঙ্গে যুক্ত। এতে হতদরিদ্র
গ্রামবাসীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক যুবকের বেকারত্ব ঘুচেছে। জেলার
চাহিদা মিটিয়ে গ্রামগুলোর সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই ইউনিয়নের
মধ্যে বাগেরহাট, চন্ডীপুর, নীলারহাট, গুঞ্জরগড় ও চকহলদি গ্রামে বছরে
উৎপাদন হচ্ছে দেড় হাজার মেট্রিক টন সবজি।
তিনি বলেন, গ্রামগুলোর উৎপাদিত শাকসবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাট-বাজারে। এখান থেকেই বছরে
বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সবজি।
গ্রামগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, এ সময়ে মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, বেগুন, ঢেড়স,
কাকরোল, করলা, পটোলসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে।গ্রামগুলোতে সকাল হলে ছুটে
যান ব্যবসায়ীরা।
চকহলদি গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগেও তিন বিঘা জমিতে
ধানের আবাদ করতেন। তবে এখন রবি মৌসুমে পুরো জমিতেই সবজি আবাদ করছেন।
আলিম উদ্দিন বলেন, ধান চাষের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক। এক বছরে মৌসুমভিত্তিক
নানা সবজি চাষ করা যায়। এতে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার
টাকা লাভ করতে পারছি।
পাশের নীলারহাট গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোবাশ্বির আলম এক সময় শুধু বোরো,
আমন ধান চাষাবাদ করতেন। কয়েক বছর ধরে অন্য ফসলের চাষাবাদ কমিয়ে সবজি চাষে
ঝুঁকছেন। শুক্রবার সকালে চন্ডীরহাট আড়তে কুমড়া ও কাকরোল বিক্রি করতে আসেন
মোবাশ্বির।
মোবাশ্বির আলম বলেন, এবার সবজির ফলন ভালো হয়েছে। তবে শুরুতে কিছুটা বাড়তি
দাম পেলেও এখন বাজার দর পড়ে গেছে।
একই এলাকার সবজিচাষি রব্বানী মিয়া বলেন, সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে আমার আয় হয়
চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এতে আমাদের ধানের চেয়ে সবজিতে বেশি লাভ হচ্ছে।
পাশের বাগেরহাট আড়তের স্থানীয় ব্যাপারী আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন এই
ইউনিয়নের বাগেরহাট, চন্ডীপুর মোড় ও গড়েয়া আড়তে পাইকারিভাবে সবজি বেচাকেনা
হয়। বিকালের পর থেকে ট্রাকে সবজি লোড করা হচ্ছে। রাতে এসব সবজি ট্রাকে
করে সরাসরি রাজধানী ঢাকার আড়তে পৌঁছে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন,
সদর উপজেলার মধ্যে গড়েয়া ইউনিয়ন কৃষিতে সমৃদ্ধ একটি এলাকা। কয়েক বছর ধরে
সবজির ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। এ কারণে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
ভবিষ্যতে সবজির গ্রামগুলোকে রোল মডেল করে আদর্শ কৃষিগ্রাম করার পরিকল্পনা
রয়েছে কৃষি বিভাগের।
নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই
– গোলাম মোহাম্মদ কাদের
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই। বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি আওয়ামী লীগের এক মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তিনি কত শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন। পাশাপাশি কোন প্রার্থী কত ভোট পাবেন তিনিও সেটি বলে বেড়াচ্ছেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। আমরা জয়ী হতেই নির্বাচন করবো। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সিটি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা ভালো ফলাফল করবেন।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পার্টির সংসদ সদস্যদের এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এ কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, কুটনৈতিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী কুটনৈতিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই। কুটনৈতিকরা যেনো আমাদের দেশে নিরাপদে কাজ করতে পারেন। এজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হযবরল হতে পারে। রাজনীতির মাঠে কি হয় আমরা কেউই জানি না। এমন বাস্তবতায় সরকার ও বিরোধী শিবিরের সবাই ঝুঁকিতে আছেন। তাই রাজনীতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না তারাই বিপদগ্রস্ত হবে। রাজনীতিতে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে ভয়াবহ পরিণতি হবে। তিনি বলেন, জনগণের সামনে আমাদের রাজনীতি পরিস্কার করতে চাই। আমরা কোন দলের বি-টিম নয়। নির্বাচনের আগে দলকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সঠিক রাজনীতি দিতে হবে। নির্বাচনের মাঠে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকবো। জাতীয় পার্টির ঐক্য বিনষ্ট করার শক্তি কারো নেই।
এসময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে বিকল্প শক্তি হিসেবে আছে। অনেকেই বলেছেন, এরশাদের মৃত্যুর পরে জাতীয় পার্টি বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু জাতীয় পার্টি এখনো অনেক শক্তিশালী। তিনি বলেন, ইন্ধন আছে কিন্তু সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অনেকেই জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে গেছেন, তারা কেউই কিছু করতে পারেন নি। আমাদের জীবনের সোনালী সময়টা জাতীয় পার্টিকে দিয়েছি, বাকি জীবনেও জাতীয় পার্টির সাথেই থাকবো।
পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিয়ে ভাবছে না। দেশের মানুষ চায় জাতীয় পাার্টি যেনো আরো শক্তিশালী ভাবে রাজনীতির মাঠে থাকে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতির মাঠে থাকলে দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকেই সমর্থন দেবে।
কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। দেশের মানুষ জানে, ঐক্যই আমাদের অঙ্গীকার। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে পরিক্ষিত, পরিপক্ক এবং ত্যাগী নেতার অভাব নেই। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবো।
কো-চেয়াম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেছেন, ঐক্যের বিকল্প নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতির মাঠে আছে। কোন বিভক্তি নেই জাতীয় পার্টিতে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আমাদের সাথে অবিচার করা হয়েছিলো। ঐ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমান সুযোগ পেলে দেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।
কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপর বিরক্ত। তারা এই দুটি দলকে আর চায় না। তাই যার যার নির্বাচনী এলাকায় শক্তভাবে কাজ করতে হবে। শক্তভাবে রাজনীতির হাল ধরতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পাটির উক্ত যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জাতীয় পার্টি মহাসচিব- মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য- মো: আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশিদ সরকার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, লে: জে: (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বক্স, নাজমা আখতার এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল আলম রুবেল, সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রওশন আরা মান্নান, শেরীফা কাদের, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, আহসান আদেলুর রহমান।
নড়াইলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ৩ জনের কারাদণ্ড
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ৩ জনের কারাদণ্ড। বন্য প্রাণী ঘড়িয়াল পাচারের দায়ে ৩ জনকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা করে মোট ৬০,০০০ (ষাট হাজার) টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১৭ মে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আফরিন জাহান এই রায় দেন। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহার তত্ত্বাবধানে এএসআই(নিঃ) জাহাঙ্গীর হোসাইন সঙ্গীয় ফোর্সসহ দক্ষিণ যোগানিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ঘড়িয়াল(আঞ্চলিক নাম রামগতি) সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-নড়াইলের নড়াগাতি থানার রামপুরা গ্রামের মোঃ মুজিবের খানের ছেলে মোঃ বিটু খান(৪৬) ও দক্ষিণ যোগানিয়া গ্রামের টিপু সুলতানের ছেলে মোঃ মাবু শেখ(৩০) এবং গোপালগঞ্জ সদর থানার ছোটফা গ্রামের মোঃ কবীর মুন্সীর ছেলে মোঃ নাছিম (৩৫)। পুলিশ সুপার নির্দেশনায় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকদের কর্মবিরতি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
সাপ্তাহিক তলবের (মজুরি) টাকা কাটার প্রতিবাদে সরকারের মালিকানাধীন কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করায় চা বাগানে পাতা উত্তোলন সহ উৎপাদনের সকল কাজ বন্ধ হয়ে যায়। (বৃহস্পতিবার) মধ্যে দাবি আদায় না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেন চা শ্রমিকরা।
চা শ্রমিকরা জানান, কিছুদিন আগে বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের সাপ্তাহিক তলব (মজুরি) থেকে ১০০ টাকা কেটে রাখে। তখন আমরা সাধারণ শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে চলতি মাসের ১৫ তারিখ বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের পাওনা মজুরির টাকা দিবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু ওইদিন কেটে রাখা বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। বুধবার (১৭ মে) শ্রমিকদের তলব (মজুরি) দিতে গিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ জানায় পূর্বের বকেয়া টাকা দেয়া হবে না। ওই টাকার জন্য আরো দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করার কথা জানিয়ে বুধবারেও সাপ্তাহিক তলব (হাজিরা) থেকে ১৫০ টাকা করে কেটে রাখলে শ্রমিকরা সাপ্তাহিক তলবের পুরো টাকা দাবি করেন। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ তলবের সব টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকরা তলবের টাকা না নিয়ে ফিরে যান।
এদিকে তলবের টাকা কেটে রাখার প্রতিবাদে এবং কেটে রাখা বকেয়া মজুরির দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে বাগানের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট করেন বাগানের নারী পুরুষ শ্রমিকরা। কাজে যোগদান না করে বাগানের ফটকে অবস্থান করায় চা বাগানে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে বাগান ব্যবস্থাপক চা শ্রমিকদের সাথে কথা বললেও শ্রমিকরা দাবিতে অনড় থাকায় কাজে যোগদান করেননি।
শ্রমিকরা বলেন- শুধু আমাদের মজুরিই নয়, শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদা কেটে রাখলেও সেই টাকা ইউনিয়নে জমা দেয়া হয় না। পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী শিপন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে পাত্রখোলা চা বাগানে মজুরি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে ।
পুরো ভোট বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে না ইসি, যেটিতে সায় সরকারের
নির্বাচনে অনিয়ম হলে গণপ্রতিনিধিত্ব সংশোধন আইনে গেজেট প্রকাশের পর পুরো ভোট বাতিলের ক্ষমতা সংক্রান্ত যে সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি), সেটিতে সায় দেয়নি মন্ত্রিসভা। পেশিশক্তি বন্ধ করার জন্য বা অন্য যেকোনো কারণে নির্বাচন চলাকালে যেকোনো মুহূর্তে এক বা একাধিক কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে ইসি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)’ সংশোধনের খসড়ায় এই বিধান রাখা হয়েছে। তাতে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল বা স্থগিতের বিষয়টি নেই।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরপিও সংশোধনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে আসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সেখানে তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম হবে শুধুমাত্র সেসব কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন, এমন বিধান রেখে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
নির্বাচনের ফলাফলের প্রজ্ঞাপন (গেজেট) হওয়ার পরও প্রয়োজনে নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী আনার যে প্রস্তাব ইসি দিয়েছিল
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২-এ বড় সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ইসি। চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, নির্বাচন চলাকালে কোনো ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে ইসি সেই কেন্দ্রের ভোট বা ফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বেসরকারি ফল প্রকাশের পরও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করা যাবে। যদিও প্রাথমিক সংশোধনী প্রস্তাবে ইসি পুরো আসনের নির্বাচন বা ফল বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল, কিন্তু সরকার সেটিতে সায় দেয়নি।
Development by: webnewsdesign.com