কাশ্মীর কখনই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল না : পাকিস্তান হাইকমিশনার

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১০:০৮ অপরাহ্ণ

কাশ্মীর কখনই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল না : পাকিস্তান হাইকমিশনার
apps

পাকিস্তানের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন, ভারত অধ্যুষিত জম্মু কাশ্মীরে ভারতের আগ্রাসন কখনই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল না। এটি জম্মু কাশ্মীরের জনগণকে তাদের স্ব-সিদ্ধান্তের অধিকারের প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রস্তাবিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের এজেন্ডা সম্পর্কিত একটি আন্তর্জাতিক বিরোধ এবং পাকিস্তান ও এটির সঙ্গে সম্পর্কিত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সর্বশেষ বৈঠকটি এই সত্যের সাক্ষী।

আজ বুধবার ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনে কাশ্মীরের সংহতি দিবসের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এই উপলক্ষে হাইকমিশনার কাশ্মীর বিবাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারীদের মাঝে শিল্ড বিতরণ করেন।

গত ছয় মাস ধরে বন্দী কাশ্মীরীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, বিধি বর্হিভূতভাবে বন্দী রাখা, নির্যাতন, সাজানো এনকাউন্টার এবং কাশ্মীরী যুবকদের গুম করার পাশাপাশি নারীদের ধর্ষণসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি ভারতীয়দের বর্বরতা ভারতীয় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের চেতনা চূর্ণ করতে পারেনি।

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি বলেন, ভারতই কাশ্মীর ইস্যুকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে নিয়ে গিয়েছিল যা স্পষ্টভাবে প্রত্যাক্ষিত হয়েছিল এবং জম্মু কাশ্মীরে গণভোটের আহ্বান জানিয়েছিল। নিরাপত্তা কাউন্সিল অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে প্রহসনের নির্বাচনসহ ভারতীয় অন্য কূটকৌশলকে অবৈধ বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল, এটাও বলেছিল যে কাশ্মীরের জনগণের ইচ্ছা অনুসারে এই রিবোধ নিষ্পত্তি করা দরকার। জম্মু কাশ্মীর তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ভারতের যে দাবি তা অবৈধ ও অকার্যকর।

২০১৮ সালের ৫ আগস্ট থেকে জম্মু কাশ্মীরে আরও একটি ভরতীয় তীব্র নৃশংসতা শুরু হলো। তখন থেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল তিনবার বৈঠক করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ১৫ জানুয়ারি এবং প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতি গুরুত্বের স্বীকৃতি তুলে ধরেছে। অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে ভারত যে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে, তার অবসান ঘটনাতে হবে। ভারত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন করছে। নিপীড়িত কাশ্মীরি জনগণের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে হবে।

এসময় হাইকমিশনার দক্ষিণ এশিয়ার ফ্যাসিবাদদের উত্থানে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

Development by: webnewsdesign.com