সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে চলছে আমন ধান কাটার মহোৎসব। নতুন ধানকে ঘিরে এখন ঘরে ঘরে চলছে নবান্ন উৎসব।রোপা আমনের এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় বুকভরা স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার কৃষকরা।
প্রতিটি ক্ষেত যেন সোনালি রঙের চাদর দ্বারা আবৃত। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১২ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধানের ফলনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭,৭৭০.০৫মেট্রিকটন।লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ মৌসুমে আমন ধানের বেশি আবাদ ও ফলন বেশি হয়েছে।
উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে ধান তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন চাষিরা। চলতি মাসের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সোনামুখি ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের কৃষক শাহালম বলেন, এবার ২ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে জানিয়েছেন ।
মাইজবাড়ি ইউনিয়নের পাইকরতলী গ্রামের কৃষক আলহাজ্ব মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, ১২বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছি। ধান ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হওয়ার আশা করছি। বিঘায় ১৫-১৬ মন করে হবে বলে আশা করছি।
মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ছালাভরা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন,আমি ১ বিঘা জমিতে ব্রী ধান ৮৭ চাষ করেছি প্রতি বিঘায়২০ মন ফলন হয়েছে। আমনের জমি চাষাবাদে ১০-১২ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে, আশা করছি বিঘায় ২০-২২ মন ধান পাবো।
স্থানীয় কৃষি উপসহকারী কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান ও শাহীন আলম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ কমে উন্নত জাতের বিশেষ করে ব্রী ধান ৮৭ জাতের আবাদ বেড়েছে। বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেশি । এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রেজাউল করিম বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ব্রীধান ৮৭ জাতের আমনের ভালো ফলন হয়েছে। এ ছাড়া এ জাতের ধান দুর্যোগে সহজে নস্ট হয়না, এ ধান রোগ পোকামাকড় প্রতিরোধীএবং স্বল্প মেয়াদি হওয়ায় কৃষকরা রবি শস্য সরিষা চাষাবাদ করতে পারবে। আমনে তেমন সেচের প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ফলন বেশি হয়েছে। বাজারেও ধানের দাম ভাল। এমন দাম পেলে আগামীতে ধান চাষে এ অঞ্চলের কৃষকরা আরো উৎসাহ পাবেন।
Development by: webnewsdesign.com