কলা খাওয়ার যত উপকারিতা

বুধবার, ১১ মে ২০২২ | ৯:২০ অপরাহ্ণ

কলা খাওয়ার যত উপকারিতা
apps

কলা খেতে কে না পছন্দ করে ? খাবার পর বা নাস্তার পর একটা কলা খাওয়া যে কত উপকারী , তা বলে শেষ করা যাবেনা । এতে পেট যেমন ভরে, তেমনি শরীর পায় প্রচুর পুষ্টি।দেহের এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যা রোধে ওষুধের তুলনায় কলা অনেক কার্যকরী। কলার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ । 

প্রথমত, কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং যেসব রোগীর রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া রোগ রয়েছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারি ।

মানসিক চাপ রোধ করে :কলার মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড, যেটি মানসিক চাপ রোধক হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম- যা বিষণ্ণতা রোধে কাজ করে। এটি নারীর ঋতুস্রাবের সমস্যা সমাধান করে এবং দেহে শক্তি জোগায়। কলায় থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বিভিন্ন রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

হৃদপিণ্ড ভালো রাখে : কলার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং সামান্য পরিমাণ লবণ যা হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে; এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে:এনার্জির অত্যন্ত ভালো উৎস কলা ।এর ফলে অনেক খেলোয়াড়কেই বেশি পরিমাণ কলা খেতে দেখা যায়। প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে তোলে স্মৃতিশক্তি।তাছাড়া , কলা দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।সকালবেলার দুর্বলতা কাটাতে কাজ করে এবং রক্তের শর্করার সামঞ্জস্য বজায় রাখে বিধায় সন্তানসম্ভবা নারীর জন্য কলা খাওয়া খুবই উপকারী।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:  কলার মধ্যে ছয় ধরনের ভিটামিন রয়েছে, যা রক্তে শর্করা গঠনে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। রোজ সকালে এটি পাকা এছাড়াও কলা খাওয়ার অভ্যাস আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখবে।কলা পাকস্থলির এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাকস্থলির আলসার রোধে কাজ করে।

মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে: পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে অবসাদে ভোগা মানুষ কলা খেলে বেশ ভাল বোধ করেন । কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। মুড অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

সুতরাং প্রতিদিন অন্তত দু’একটি কলা যেন খাদ্যতালিকায় থাকে, সেজন্য অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত । আশাকরি উপরোক্ত আলোচনার পর যারা কলা খেতে পছন্দ করতেন না, তারা ও এখন থেকে কলা খাবেন ।

Development by: webnewsdesign.com