মোশাররফ করিম ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন কলকাতার আবির চ্যাটার্জি, নুসরাত জাহান ও পৌলমী বসু।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ব্রাত্য বসু।
বুদ্ধদেব গুহর দুইটি ছোট গল্প ‘বাবা হওয়া’ ও ‘স্বামী হওয়া’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘ডিকশনারি’ সিনেমাটি।
মোশাররফ করিম বলেন, ‘ব্রাত্য বসু স্বনামধন্য একজন অভিনেতা ও গুণী নির্মাতা। তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোবাসা নিয়ে কাজ করেছি। দর্শকরা এ সিনেমাটি দেখবে বলে প্রত্যাশা করছি।
দীর্ঘ ১০ বছর পর ‘ডিকশনারি’ ছবির মাধ্যমে আবার পরিচালনায় এলেন ব্রাত্য বসু। এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনয়শিল্পী ও বশির হাটের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বুদ্ধদেব গুহর দুটি ছোটগল্প ‘বাবা হওয়া’ ও ‘স্বামী হওয়া’ অবলম্বনে ছবির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
ছবিতে সমান্তরালে চলে দুই পরিবারের কাহিনী। একদিকে থাকে ঢালাই ব্যবসাদার মকর ক্রান্তি চট্টোপাধ্যায় (মোশারফ করিম), তার স্ত্রী শ্রীমতি (পৌলমী বসু) ও পুত্র রাকেশ (সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়) সমেত রাজারহাটের ঝাঁ চকচকে অট্টালিকায় এক পুরোদস্তুর শহুরে জীবন। অন্যদিকে বন বিভাগের চাকরিসূত্রে পুরুলিয়ার বরাভূমের অশোক (আবির চট্টোপাধ্যায়) আর তার স্ত্রী স্মিতা (নুসরত জাহান) এবং মেয়ে চানুর প্রকৃতির কোলে নিভৃত জীবন। এই দুই পরিবারের মধ্যে এক অদ্ভুত সংযোগ হল সুমন (অর্ণ মুখোপাধ্যায়)- পারিবারিক সূত্রে শ্রীমতির ভাই, আবার পড়াশোনার সূত্রে অশোকের কলেজের জুনিয়র। বরাভূমের এক কলেজের ইংরেজি অধ্যাপক সুমনের সাথে স্মিতার পরকীয়া সম্পর্ক নাড়িয়ে দেয় অশোক-স্মিতার পারিবারিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ছক, ছবিতে যোগ করে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এ ছবির রিভিউতে বাংলাদেশের অভিনেতা মোশাররফ করিমের অভিনয়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ সিনেমায় নজর কেড়েছেন মকর ক্রান্তির ভূমিকায় মোশারফ করিম। কলোনিয়াল (এবং ক্লাবের নিত্যদিনের মদ্যপানের) হ্যাংওভার কাটিয়ে উঠতে না পারা মকরের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ছেলেকে ইঞ্জনিয়ার বানানোর মধ্যবিত্ত বাসনা ও ইংরেজি ভাষা বেগতিক হয়েও তা রপ্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা কখনও হাসির উদ্রেক করে, কখনও করুণার- সবটাই মোশারফ ব্যক্ত করেছেন সমান দক্ষতায়।
Development by: webnewsdesign.com