করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট নয় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ..

রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ

করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট নয় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ..
apps

গেলো ৮ দশকের মধ্যে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বব্যাংক আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ বলছে, আর্থিক সংকটে হুমকির মুখে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ, অভিবাসী আর শারীরিক প্রতিবন্ধীরা। বিশ্বকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে যৌথভাবে বেশ কিছু পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে এই দুই আর্থিক সংস্থা।

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন, বিধিনিষেধ, বিনিয়োগ স্থবিরতা, রেমিট্যান্স প্রবাহ ব্যাহত, খাবার আর স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহসহ সব ক্ষেত্রেই তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। বাড়ছে বেকারত্ব, আয় বৈষম্য আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতা। বিশ্বব্যাংক বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংকট থেকে ২০২১ সালে কিছুটা ঘুড়ে দাঁড়াবে পুরো বিশ্ব। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সাল নাগাদ অতিদারিদ্র্যের মুখে পড়বে ১৫ কোটি মানুষ। ১৯৯৮ সালের পর চলতি বছরই সর্বোচ্চ বাড়বে বেকারত্ব।

এই মহামারির কারণে স্কুল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উন্নয়নশীল দেশের ১৬০ কোটি শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠিত হলে যাদের আয় হতে পারতো ১০ ট্রিলিয়ন ডলার। ৬৫ দেশের সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে স্কুল কলেজ খোলার চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে ১১১টি দেশে জরুরি স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দরিদ্র দেশগুলোর ঋণ পরিশোধের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও রয়েছে এই দাতা সংস্থার।

করোনার ভ্যাক্সিনের জন্য দরিদ্র দেশগুলোকে ১ হাজার ২শ’ ডলার সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। করোনা পরবর্তী স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য সংস্থাটি বরাদ্দ রেখেছে ১৬ হাজার কোটি ডলার। তবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি গেলো ৫ বছরে জলবায়ু পরির্বতন রোধে ৮ হাজার ৩শ’ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। আগামী ৫ বছরেও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করবেন বিশ্বব্যাংকের নীতি নির্ধারকরা।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ১০ কোটি মানুষ কোভিড-১৯’র কারণে অতিদারিদ্র্যের মুখে পড়বে, যাদের দৈনিক ২ ডলার করে দিলেও খরচ পড়বে বছরে ৭ হাজার কোটি ডলার। এটাই প্রমাণ করে যে, অতিদারিদ্র্য মানুষকে সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংক বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, কারো পদক্ষেপই পর্যাপ্ত না।

সূত্র- সময় টিভি

Development by: webnewsdesign.com