করোনা প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা থাকলেও এটা আপাতত আর হচ্ছে না, তবে যে পরিমাণ টিকা হাতে থাকবে সেই পরিমাণ নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এই মাসের ৭ তারিখে ইউনিয়ন পর্যায়ে ছয়দিনের বিশেষ গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছিল সরকার, সেখানে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। তবে সরবরাহ কম থাকায় অনেককে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনারও অভিযোগ আসে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গণটিকা দেওয়ার সময় লম্বা লাইন আমরা না চাইতেও হয়েছে। আমেরিকার টিকা হোক আর চায়নার হোক, টিকার কাজ সবগুলোই ভালো। তাই হুড়োহুড়ি করে টিকা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে ছয় দিনের গণ টিকা কর্মসূচিতে এনআইডি নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাওয়ার যে সুযোগ রাখা হয়েছিল, তেমন সুযোগ আর থাকবে না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অবশ্যই নিবন্ধন ছাড়া টিকা দেওয়া হবে না। সাড়ে তিন কোটি নিবন্ধন হয়েছে, এর মধ্যে ২ কোটির বেশি টিকা নিয়েছে। টিকা যতটুকু আছে সেই পরিমাণভাবে যেন নিবন্ধন হয়, যে পরিমাণ টিকা থাকবে সেই পরিমাণ নিবন্ধন হবে।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামে লোকেরা টিকা নিচ্ছিল না, এজন্য গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বেশিরভাগ টিকা শহরে দেওয়া হয়েছে, গ্রামে আমাদের বসবাস থাকলেও সেখানে কম দেওয়া হয়েছে।
আগামীতে গণটিকা কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা বিষয়ক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে গণটিকা কার্যক্রম আমরা করছি না, কারণ সেই পরিমাণ টিকা আমাদের হাতে নেই। আমরা গণ কথাটা আগামীতে ব্যবহার করব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে যখন যতটুকু টিকা আসবে এবং সেই টিকা যতগুলো লোককে দিতে পারব, সেই পরিমাণ লোককেই আমরা ডাকব। যাদের কাছে বার্তা যাবে তারাই আসবে।
Development by: webnewsdesign.com