সিলেট বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জের ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেনের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত বনের গাছ পাচারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক অভিযোগে তাকে অন্যত্র বদলি করা হলেও রহস্যজনক কারণে স্বপদে বহাল রয়েছেন বিতর্কিত এ রেঞ্জ কর্মকর্তা। এরফলে সংরক্ষিত বনে বেড়েছে গাছ চুরি আর বন দখলের মহোৎসব। বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি রেঞ্জের চাউতলী বন বিট কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। চালতলী বিট কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে তাহার বিরুদ্ধে সংরক্ষিত বনের গাছ পাচারসহ নানা অভিযোগ উঠে।
তখন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরিবর্তে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা দায়িত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করে বন বিভাগ। বিট কর্মকর্তার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়ায় বেড়ে যায় কর্মপরিধি।
প্রায় এক বছর ধরে শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তাহিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ের মধ্যে বন রেঞ্জের লাউয়াছড়া,কালাছড়া ও চাউতলী বনবিটের সংরক্ষিত বনে গাছ চুরির পাশাপাশি দখল হয়েছে বিশাল বিশাল টিলা। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাছ চুরি হয়েছে চালতলী ও লাউয়াছড়ার বাঘমারা ক্যাম্প এলাকার বনে। আর টিলা দখল হয়েছে কালাছড়া বনে। স্থানীয়দের অভিযোগ,কতিপয় অসাধু বন কর্মকর্তার যোগসাজসে বনের গাছ পাচার আর টিলা দখলে সবচেয়ে বেশি লাভমান হয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন।
স্থানীয়রা জানান,কালাছড়া বনে বেদখলকৃত জায়গায় লাগানো হয়েছে আনারস,লেবু বাগান। বনের বেদখলকৃত অনেক ভূমিতে তৈরি করা হয়েছে পাকা ও আধা পাকা বসতঘর।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
যদি এ ধরনের কর্মকান্ডে কেউ জড়িত থাকেন তাহলে তদন্তক্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় এ বন কর্মকর্তা বলেন, দুই একদিনের মধ্য তদন্ত টিম গঠন করে গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে
Development by: webnewsdesign.com