কঠোর লকডাউনে সরাইল বিশ্বরোড় থেকে মাইক্রোবাস করে ঢাকায় যাচ্ছে যাত্রীরা

শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১ | ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

কঠোর লকডাউনে সরাইল বিশ্বরোড় থেকে মাইক্রোবাস করে ঢাকায় যাচ্ছে যাত্রীরা
apps

বিধিনিষেধ চলমান কঠোর লকডাউন এর সময়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড থেমে নেই প্রভেটকার-মাইক্রোবাস করে যাত্রীরা ঢাকা যাওয়া।

স্থানীয় কয়টি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস এ করে অতিরিক্তি ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের ঢাকা পাঠাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্বরোড় থেকে ঢাকা জনপ্রতি ১ হাজার থেকে ১৫’শ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। প্রতিটি গাড়ীতে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত গাদাগাদি করে যাত্রী বোঝাই করা হয়।

এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ায় যাত্রীদের নিজেদের ভেতেরেই করোনা সংক্রমনের আশংকা থেকে যায়। মাইক্রোস্ট্যান্ডে কতিপয় চাঁদাবাজের দ্বারা রাজধানীতে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে বেপরোয়া ভাবে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে তিনগুণ বেশী ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকা যাচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ঢাকা যায়। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন মানুষ।

সরেজমিনে শুক্রবার(৩০জুলাই)সকালে সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাইক্রোবাসে

ভেতরে ঢাকামুখী একাধিক যাত্রী অপেক্ষমান।যাত্রীবাহি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস সারি সারি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। যাত্রীদের উপচে পড়া ভির,মানছে না কেউ সামাজিক দূরত্ব।

মাইক্রোবাসে অপেক্ষমান যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়। গাড়ীগুলোর দালালরা এসে দরদাম করে ভাড়ায় মিললে তারপর তাদেরকে প্রাইভেটকার অথবা মাইক্রোবাসে উঠানো হয়। সেখান থেকেই ঢাকার দিকে রওয়ানা করা হয়।

এখানে অপেক্ষমান কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বললে তারা জানায়, দালালের সাথে দরদাম চলছে। একজন জানায়। বিশ্বরোড থেকে ঢাকা স্থান পর্যন্ত তার কাছে ১২’শ টাকা চাওয়া হয়েছে।

আরেকজন নারী যাত্রী জানান, তিনি ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকায় যাবেন। তার কাছে ১৫’শ টাকা ভাড়া চাওয়া হয়েছে। এসব যাত্রীরা কিছু কম ভাড়া দিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি করানোর চেষ্টায় অপেক্ষমান আছেন।

এই প্রতিবেদক অপেক্ষমান যাত্রীদের সাথে কথা বলতে বলতে ১৫-২০ মিনিটের ভেরে সেখানে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার এসে হাজির হয়। বলতে না বলতে কারটি যাত্রী ও মালামালে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এসময় ওই কারের চালকের সাথে কথা হয়। কঠোর লকডাউনে কথা বললে চালক বলে।

পেটের ক্ষিধা তো আর লকডাউন মানতে চায়না।” সড়কে পুলিশী বাধার মুখে পড়লে যাত্রী কিভাবে পৌঁছাবে। জানতে চাইলে চালক ফের জানায় , ফাঁকফোঁকর দিয়ে টেনে চলে যাওয়া যাবে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সরাইল বিশ্বরোড এলাকার কয়টি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কঠোর লকডাউনের মধ্যে যাত্রীদের এ সকল ব্যাবস্থা করে দেয়। এরা বিচ্ছিন্নভাবে যাত্রীরসাথে দরদাম করে যাত্রী ঠিক করে। পর্যাপ্ত যাত্রী হলে পরে তারা নির্দিষ্ট গাড়ীকে লাইনে আনে। গাড়ী এসেই দ্রুত যাত্রীদের উঠিয়ে মহুর্তেই চলে যায়।

এ ব্যাপারে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, এভাবে যাত্রীর চলাফেরা নিষেধ। বিশ্বরোড় মোড়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষয়ে আরও নজরদারি করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com