কক্সবাজারের মহেশখালীতে হত্যার ছয় দিন পর শনিবার রাতে বাড়ির উঠান খুঁড়ে পাওয়া গেছে গৃহবধূর লাশ। অভিযোগ উঠেছে, গৃহবধূ আফরোজা বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর উঠানেই গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। নিহত গৃহবধূর কলেজ প্রভাষক স্বামীসহ পরিবারের সবাই ঘটনার পর থেকে পলাতক।
নিহত আফরোজা বেগমের স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পি চকরিয়া উপজেলার বদরখালী কলেজের প্রভাষক। নিহত গৃহবধূ আফরোজা মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়ি গ্রামের মোহাম্মদ ইসহাকের কন্যা। প্রভাষক বাপ্পি হচ্ছেন নিহত আফরোজার দ্বিতীয় স্বামী এবং প্রভাষক বাপ্পিরও দ্বিতীয় স্ত্রী হচ্ছেন আফরোজা।
নিহত গৃহবধূ আফরোজা বেগমের বড় ভাই মো. মিজানুর রহমানের অভিযোগ, আগে থেকেই তাঁর বোনকে নিয়মিত নির্যাতন চালানো হতো তার শ্বশুরবাড়িতে। গত ১১ অক্টোবর শাশুড়ি রোকেয়া হাসান ফোন করে তাদের জানান, পুত্রবধূ আফরোজা শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। এ কথায় তাদের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা মিলে ওই রাতেই পরিকল্পিত হত্যার পর তাদের ফোন করা হয়েছিল বলে তাঁরা মনে করেন। এ ঘটনা পুলিশকে জানানোর পরও গৃহবধূ আফরোজার সন্ধানে ফাঁড়ির পুলিশ উদ্যোগ নেয়নি বলে ভাই মিজানুর অভিযোগ করেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পুলিশ শনিবার সারা দিন মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলা এলাকায় অভিযান চালানোর একপর্যায়ে বাপ্পির প্রথম স্ত্রীর শিশুকন্যার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১১টার দিকে (১৭ অক্টোবর) বাপ্পির বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ে গৃহবধূ আফরোজার লাশ উদ্ধার করে। এর আগেই আফরোজার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
কক্সবাজারের মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই জানান, আফরোজার নিখোঁজ নিয়ে প্রথমে তাঁর পিতা মোহাম্মদ ইসহাক একটি অপহরণ মামলা করেছিলেন। এটি এখন হত্যা মামলায় রেকর্ড করা হবে। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Development by: webnewsdesign.com