করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আসা উচিত বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েন।
উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। গেলো সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। এরপর থেকে আফ্রিকার সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্বের অনেক দেশ।
বিবিসি বলছে, শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ২৪টি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সেই সাথে সম্প্রতি ইউরোপের দেশগুলোতে করোনায় নতুন সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও বলছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাথমিক লক্ষণগুলো খুবই মৃদু।
করোনা টিকার বিষয়ে উরসুলা ভন ডার লেয়েন জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক তৃতীয়াংশ মানুষ টিকা দেয়নি। সে হিসেবে টিকা দেওয়া এখন বাধ্যতামূলক। ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে বাধ্যতামূলক টিকাদান কর্মসূচিকে আমরা কিভাবে এগিয়ে নিতে পারি এ বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। সবাইকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ’
এরইমধ্যে অনেক ইউরোপী দেশগুলো ভ্যাকসিনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বিষয়ে জার্মানির আগাম চ্যাঞ্চেলর প্রার্থী ওলাফ শলৎস বলেন, বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার পক্ষে তিনি। বিল্ড টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে শলৎস বলেন, মার্চ থেক বাধ্যতামূলকভাবে টিকা দেওয়া দরকার এবং দ্রুত বুস্টার ডোজ চালু করতে হবে।
Development by: webnewsdesign.com