ঐক্যের ডাক দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩:৩৯ অপরাহ্ণ

ঐক্যের ডাক দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট
apps

যে কোন মুহূর্তে চরম যুদ্ধপরিস্থিতি বিরাজ করছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ইউক্রেন সীমান্তে ইতোমধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। পশ্চিমারা গোয়েন্দাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে- যেকোনও সময় ইউক্রেনে বিমান হামলা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া।

ইউক্রেনে আগামী বুধবার হামলা করতে পারে রাশিয়া এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এ হামলার অন্তর্বর্তী সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ১৬ ফেব্রুয়ারি ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। দিবসটিকে ‘ঐক্য দিবস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।

সম্ভাব্য রুশ হামলার বিরুদ্ধে বুধবার বাড়িতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়াতে এবং জাতীয় সংগীত গাইতে ইউক্রেনবাসীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জেলেনস্কি বলেছেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তারা (রাশিয়া) আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। দিনটিতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা সামরিক মহড়া করে আমাদের ভীত-সন্ত্রস্ত রাখতে চাইছে।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে বলছেন, রাশিয়া অনেকদিন ধরে তার দেশকে হুমকি দিলেও যেকোনো মুহূর্তে মস্কোর হামলার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে প্রকাশ করছে পশ্চিমা মিত্ররা। এতে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে।

ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যে কোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যে কোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করতে পারে রাশিয়া।

এদিকে যুদ্ধ কিংবা আগ্রাসন নয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এখনো সম্ভব মনে করেন ন্যাটো বাহিনীর প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ইভান ডুকে মারকুইজের সঙ্গে বৈঠকে শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে প্রস্তুত ন্যাটো। ন্যাটোপ্রধান বলেন, বুধবারের (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর বোঝা যাবে যুদ্ধ নাকি শান্তির পথে হাঁটছে রাশিয়া।

Development by: webnewsdesign.com