গতবছর একই সময়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০-২৬ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০ টাকা
সরবরাহ সংকটের কারণে রাজধানী ঢাকার কাঁচাবাজারে গতবছরের তুলনায় গড়ে ৮০ শতাংশ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গতবছরের একই সময়ের তুলনায় খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৮৫ শতাংশ ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫০-১৬০ টাকা দরে এবং আমদানি করা পেঁয়াজ জাতভেদে কেজি প্রতি ৬০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গতবছর একই সময়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০-২৬ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০ টাকা।
রাষ্ট্র পরিচালিত ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দেশে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০০ টাকা বেশি। এছাড়া, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-১২০ টাকা দরে। যা ২০১৯ সালের এ সময়ে ছিল ২০ টাকা।
শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শামসুর রহমান বলেন, দেশি পেঁয়াজ এখনও বাজারে পুরোপুরি আসেনি এবং ভারতীয় পেঁয়াজেরও ঘাটতি রয়েছে।
“দেশি পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে আসা শুরু করলে দাম ৩৫-৪০ টাকায় নেমে আসবে। ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করলে একদিনেই দাম ৫০ টাকা কমে আসবে,” দবি করেন তিনি।
শামসুর রহমান বলেন, বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ খেত থেকে তোলার অপেক্ষায় আছে। এগুলো তোলা হয়ে গেলে পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে কমে আসবে।
পুরান ঢাকার দোকানি হাসিবুল ইসলাম পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় সিন্ডিকেট ও মজুতকারীদের দোষারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করি কারণ পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনে আনি।”
“আমরা গতবছর ২০-২৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। তবে এবছর তা বিক্রি করতে হবে ১৫০ টাকারও বেশি। সরকার কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২২ থেকে ২৫ লাখ টন। দেশে বার্ষিক পেঁয়াজের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি গত দশকে আমদানি করা পেঁয়াজের পরিমাণও বেড়েছে।
গতবছর ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ফলে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে যায়। দেশের বাজরগুলো এখনও সে ধাক্কা সামলাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৯ সালে আমদানি করা পেঁয়াজের পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ টন। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১১ লাখ টন ছাড়িয়েছে
Development by: webnewsdesign.com