ইবি প্রশাসনকে সিওয়াইবি’র খোলা চিঠি

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৫:৩০ অপরাহ্ণ

ইবি প্রশাসনকে সিওয়াইবি’র খোলা চিঠি
apps

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনকে খোলা চিঠি দিয়েছে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সংগঠন কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংগঠনটির পাঠানো এক সংবাদ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

পাঠকদের জন্য চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

সম্মানিত মহোদয়বৃন্দ আপনারা জানেন কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালসহ দেশের প্রায় ৩৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্যে ভেজাল ও ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি প্রথম যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভেজাল খাদ্য ও ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় আমরা গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ক্যাম্পাসের সাদ্দাম হোসেন হল, লালন শাহ হল ও জিয়া হলে খাদ্যের গুনগত মান ঠিক আছে কিনা সেই বিষয়ে তদারকি ও সচেতনতা করি। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাদ্দাম হোসেন হলে মবিলের মত তেল, ১০ দিন আগের পোঁকা ধরা ফুল কপি, টয়লেটের রুমে চাল-ডালের বস্তা এবং লালন শাহ হলের ফ্রিজ দেখে মনে হচ্ছে সেখানে মুরগীর উৎপাদন এবং নিম্নমানের পিঁয়াজের গুদাম দেওয়া হয়েছে।

খাদ্যে ভেজাল দেওয়া একটি মারাত্বক অপরাধ, কারণ খাদ্যে ভেজাল মরণব্যাধি কিডনি ডিজিস, হার্টঅ্যাটাক, ব্লাডক্যান্সার সহ অনেক রোগের জন্যে দায়ি। অতএব কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ ইবি শাখা সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাদ্যের গুনগত মান নিশ্চিত করণে নিম্নোক্ত ৫ টি দাবি তুলে ধরছে:

১. হলের ডাইনিং ম্যানেজাররা যদি খাদ্যের মানের পরিবর্তন না করে তাহলে তাদের পরিবর্তে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেন।
২. ডাইনিংয়ের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩. খোলা শরীরে খাবার পরিবেশন বন্ধ করতে হবে।
৪. খাদ্যের সঠিক মুল্য তালিকা দিতে হবে।
৫. নিরাপদ ও ভেজাল মুক্ত খাদ্য পরিবেশন করতে হবে।

উল্লেখ্য, সচেতনতা ভোক্তা সমাজ (সিসিএস)-এর যুব সংগঠন হিসেবে কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে নানা ধরণের সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।

Development by: webnewsdesign.com