ইউরোপজুড়ে করোনায় দ্বিতীয় প্রবাহে তাণ্ডবে প্রতি ১৭ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু !

শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০ | ২:১৮ অপরাহ্ণ

ইউরোপজুড়ে করোনায় দ্বিতীয় প্রবাহে তাণ্ডবে প্রতি ১৭ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু !
ছবি-সংগৃহীত
apps

ইউরোপ জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় প্রবাহে তাণ্ডব শুরু হয়েছে । এই তাণ্ডবে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আবারও নভেল করোনা ভাইরাসজনিত মহামারির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে ইউরোপ। আগামী ছয় মাস মহাদেশটির সামনে ‘কঠিন’ সময় অপেক্ষা করছে বলে এর মধ্যেই সতর্ক বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি। ডব্লিউএইচওর ইউরোপপ্রধান হ্যানস ক্লুগ জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মহাদেশটিতে ২৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছে।

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে এক সংবাদ সম্মেলনে হ্যানস ক্লুগ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপ আবারও (করোনাজনিত) বৈশ্বিক মহামারির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।‘করোনায় প্রতি ১৭ সেকেন্ডে একজন মারা যাচ্ছে’, বলেও জানান হ্যানস ক্লুগ।

করোনা মোকাবিলায় এরই মধ্যে একাধিক সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু, তবুও ইউরোপকে আসন্ন দিনগুলোতে কঠিন সময় পার করতে হবে বলে মনে করেন হ্যানস ক্লুগ। তিনি বলেন, ‘টানেলের শেষে আলোর রেখা দেখা গেলেও (সামনে) কঠিন ছয়টি মাস অপেক্ষা করছে।’

তবে হ্যানস ক্লুগ এও জানান, লকডাউন দেওয়ার কারণে ইউরোপে করোনার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিষেধক প্রস্তুত করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের একাধিক সংস্থা। কোনো সংস্থা এককভাবে, আবার যৌথ উদ্যোগেও তৈরি করা হচ্ছে করোনার টিকা। এসব ভ্যাকসিনের কাজ হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে শেখানো। এরই মধ্যে একাধিক ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রাথমিক ফল প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, করোনা প্রতিরোধে এসব ভ্যাকসিন বেশ কার্যকর। এর ফলে করোনার মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারার আশা জোরদার হয়েছে।

অক্সফোর্ড, ফাইজার-বায়োএনটেক, স্পুটনিক ও মডার্নার প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাগুলোর চারটি ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে ভালো কাজ করছে।

এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ দুটি করোনার ভ্যাকসিনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিতে পারে ইউরোপ।

গত মাস (অক্টোবর) থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার আশঙ্কা জোরদার হতে শুরু করলে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পুনরায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা মহাদেশ। এর পরই রয়েছে ইউরোপ। এখন পর্যন্ত ইউরোপে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ৫৭ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯ জন এবং করোনায় মারা গেছে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ও জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে করোনায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর, ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ফ্রান্সে ২১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৭ জন।

Development by: webnewsdesign.com