ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে একটি স্কুলে বোমা হামলার ঘটনায় প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব কথা জানিয়েছেন।বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়ার পর ভবনটি গুঁড়িয়ে যায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তিন ঘণ্টা সময় লাগে।
এর আগে লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, বিলোহোরিভকার ওই স্কুলভবনে ৯০ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাইদাই বলেন, গত শনিবার রুশ যুদ্ধবিমান থেকে ওই ভবনে বোমা ফেলা হয়।
তবে রাশিয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। লুহানস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছেন রুশ বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা। সেখানে ভয়াবহ লড়াই চলছিল। আট বছর ধরে ওই এলাকাটি রুশ–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের নিকটবর্তী এলাকা বিলোহোরিভকা।
গত শনিবার ওই গ্রামের উপকণ্ঠে ব্যাপক লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে গ্রামটি লড়াইয়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে গভর্নর বলেন, বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়ার পর ভবনটি গুঁড়িয়ে যায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তিন ঘণ্টা সময় লাগে। তিনি আরও বলেন, ওই গ্রামের প্রায় সবাই ভবনটির বেজমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন। হতাহতের চূড়ান্ত সংখ্যা ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর জানা যাবে বলে গভর্নর জানান।
প্রাণঘাতী এ হামলার ঘটনায় ‘মর্মাহত’ বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই রেহাই দেওয়া উচিত।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয়ের গত মাসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২ হাজার ৩৪৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৯১৯ জন। এ ছাড়া দুই পক্ষের কয়েক হাজার যোদ্ধা নিহত ও আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূএ: বিবিসি
Development by: webnewsdesign.com