কাতার বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিকতা বেশ আগেই সেরে নিয়েছে ব্রাজিল। আর আর্জেন্টিনা বুধবার ঘরের মাঠে ব্রাজিলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে চারে থাকা নিশ্চিত করেছে। বুধবারের ম্যাচে দুই দলের কোনো দল প্রাধান্য বিস্তার করতে না পারলেও প্রথমার্ধেই আর্জেন্টিনা ১০ জনের দল হয়ে যেতে পারত। কিন্তু রেফারি স্বাগতিক দলের নিকোলাস ওতামেন্দিকে লাল কার্ড দেখাননি। এমনকি রিপ্লে দেখেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি সিদ্ধান্ত বদলাননি।
এই ঘটনায় কনমেবল রেফারি কমিশন অনির্দিষ্টকালের জন্য উরুগুয়ের রেফারি আন্দ্রেস কুনিয়া ও ভিএআর সহকারী এস্তেবান অস্তোহিচকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়া বল নিয়ে ব্রাজিল ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। লিডসের এই ফরোয়ার্ড সেখানে বল হারিয়ে ফেললে বল দখলে নেন সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার ওতামেন্দি। রাফিনিয়া আবার বলের দখল নিতে ছুটে যান। এ সময় ডি-বক্সের একটু বাইরে ওতামেন্দি রাফিনিয়ার মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। ইচ্ছাকৃত এমন ফাউলের শাস্তি লাল কার্ড। রেফারি কুনিয়া ঘটনা দেখেননি, এমন দাবি করায় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) সহকারী অস্তোহিচের ওপর দায়িত্ব পড়ে।
বেশ কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে ঘটনা দেখলেও সেটা রেফারি কুনিয়াকে জানাননি অস্তোহিচ। অথচ আঘাতে রাফিনিয়ার মুখ থেকে রক্ত ঝরছিল। ম্যাচের বাকি সময় মুখে ব্যান্ডেজ পরে খেলেছেন এই ফরোয়ার্ড। পরে জানা গেছে, রক্ত বন্ধ করতে রাফিনিয়াকে পাঁচটি সেলাই নিতে হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কনমেবল রেফারি কমিশন জানিয়েছে, ঘটনা সামলাতে ও নিজেদের দায়িত্ব পালনে দুই রেফারি ভয়ংকর ভুল করেছেন। আর এ কারণেই রেফারি কমিটি রেফারি কুনিয়া ও অ্যাস্টিসট্যান্ট রেফারি অস্তোহিচকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাময়িক নিষিদ্ধ করছে।
ব্রাজিল কোচ তিতে এ ঘটনায় রেফারিদের উদ্দেশে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, রাফিনিয়ার মুখে ওতামেন্দির কনুইয়ের আঘাত দেখা যায়নি, এটা অসম্ভব। এটা (লাল কার্ড হলে) কি ম্যাচের ফল নির্ধারিত করে দিত? আমি জানি না। উচ্চ মানের ভিএআর এভাবে কাজ করতে পারে না। এটা অচিন্তনীয়। আমি এ শব্দ ব্যবহার করতে চাই না। আমি বিনয়ী বলেই এ শব্দ ব্যবহার করছি। ম্যাচ চলার সময় ব্রাজিল সমর্থকেরা এ ঘটনায় খেপে উঠেছিলেন।
Development by: webnewsdesign.com