বাগেরহাটের শরণখোলায় এক স্কুল শিক্ষক একটি নাশকতা মামলায় জেল-হাজতে থাকলেও রহস্য জনক কারনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর সুতালড়ী গ্রামের বাসিন্দা-নুর-মোহম্মদ খাঁনের ছেলে মো. সরোয়ার হোসেন খাঁন (৪৫) সহ জামাত-বিএনপির একদল সক্রিয় সদস্যের বিরুদ্ধে জন মনে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম বিশারীঘাটা খালের উপর নির্মিত মেম্বার ব্রীজ উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা ওই মামলায় প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন এজাহারে ৩১ নম্বর বিবাদী। উক্ত মামলায় গত ২ নভেম্বর মো. সরোয়ার হোসেন হাজিরা দিতে গেলে তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন বাগরহাট জেলা আদালত।
অপরদিকে, প্রায় এক মাস ধরে শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন জেল হাজতে অবস্থান করলেও রহস্য জনক কারনে এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি বিধি অনুযায়ী কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য বলেন, চাকুরী বিধি অনুযায়ী ফৌজদারী আইনে সরকারী-বে-সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হলে কিংম্বা হাজত বাস করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদ প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যাক্তিকে তার প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকান্ড থেকে সাময়িক ভাবে বিরত রেখে জীবন ধারনের জন্য বেতনের অর্ধেক অংশ প্রদান করবেন। তবে কোন ক্ষেত্রে যদি কারও সাজা হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে তাকে স্থায়ী ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার বিধান রয়েছে। কারও ক্ষেত্রে এ নিয়মের ব্যাতিক্রম হলে তার সম্পুর্ন দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার হালদার বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন জেল হাজতে থাকার কারনে আমি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
এ সর্ম্পকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (অবসরপ্রাপ্ত) কৃষিকর্মকর্তা মো. শহীদ হোসেন বাবুল আকন বলেন, পক্ষপাত মুলক আচারনের অভিযোগটি আদৌ সঠিক নয় । তাছাড়া প্রধান শিক্ষক জেল হাজতে থাকার বিষয়টি আমি কয়েক দিন আগে জানতে পেরেছি এবং ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দু’ দফা বৈঠকে হয়েছে। তবে ,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি আলোচনা করে শ্রীঘ্রই প্রধান শিক্ষকের ব্যাপরে ব্যাবস্থা নেওয়া করা হবে ।
Development by: webnewsdesign.com