রংপুর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন একাই প্রায় ৪৫৮ কোটি টাকার ৫টি প্রকল্পের পিডি। ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বাতিল হয়ে গেছে জাইকার ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প।
২১০ কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, ১১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয়, ৬০ কোটি টাকার ড্রেন ও ফুটপাথ নির্মাণ, ৪৯ কোটি টাকার সড়ক বাতি স্থাপন ও ২৫ কোটি টাকার রি-হ্যাবুলেশন অ্যান্ড ইমপ্রুভমেন্ট রোড ইন সিটি, এই ৫টি প্রকল্পের পিডি এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন। অথচ একের বেশি প্রকল্পের পিডি হওয়ার নিয়ম নেই। প্রত্যেকটি প্রকল্পেই বড় বড় অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়েছে। এছাড়াও অসংখ্য অভিযোগ মাথায় নিয়ে টানা ১২ বছর প্রতিষ্ঠানে আছেন তিনি।
রংপুর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, ‘বিধিটা পরিবর্তন না হওয়ায় বদলীটা হচ্ছে না।’
দুর্নীতির কোন অভিযোগ মানেন না মেয়র মোস্তাফিজার রহমান। তিনি বলেন, ‘অনিয়ম আমি করিনি। অনিয়ম আপনারা করাচ্ছেন।’
সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের এসব দুর্নীতির অভিযোগ জমা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যানের দফতরে।
রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় পরিচালক আবদুল করীম বলেন, ‘এই অভিযোগটি বাছাই কমিটিতে দেওয়া হবে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটাই নেওয়া হবে।’
২০১৫ সালে করপোরেশনের প্রথম মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদের সময় দরপত্র বা কোটেশন ছাড়াই ৩০ কোটি টাকার ৪৯টি কাজ পছন্দের ঠিকাদারদের দেয়া এবং কাজ হওয়ার আগেই বিল দিয়ে দেয়ার অভিযোগে আরও একটি মামলা হলেও তার হদিস নেই।
Development by: webnewsdesign.com