সম্প্রতি ভারতের এক মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে দিল্লিতে রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে বসবাস করছেন এই লেখিকা। বাংলাদেশে মৌলবাদের প্রতিবাদ করায় মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হতে হয় তাকে। তারপর থেকেই ভারতের আশ্রয়ে আছেন লেখিকা। এবার শোনা যাচ্ছে, তসলিমা নাকি ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এ ব্যাপারে এবার মুখ খুললেন স্বয়ং তসলিমা।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে প্রখ্যাত নারীবাদী এই লেখিকা লিখেছেন, ‘বাজারে বলাবলি হইতাছে আমি নাকি ভারতের নাগরিকত্ব পাইয়াই যাইতাছি। ফরেন মিনিস্টার বলছেন আমি পাইয়া গেছি নাগরিকত্ব। যদিও ভুল কইরা বলছেন। স্লিপ অফ টাং। বাট কথা হইলো কেমনে আমি পাবো নাগরিকত্ব। পাওয়ার রাস্তা তো দেখতাছি না। দেখতাছি না, কারণ আমি তো এপ্লাইই করি নাই নাগরিকত্বের জন্য। তাইলে কেম্নে কী!’
‘বছর বছর আমার রেসিডেন্স পারমিট বাড়াইলেই আমি খুশি। দুইদিনের দুনিয়ায় আমাদের দুইদিনের বসবাস। কী দরকার নাগরিক হওয়ার। নাগরিক হইলে সুবিধা কী শুনি! আমি তো বাংলাদেশের নাগরিক? আমারে দেশ থেইক্যা বাইর কইরা দেয় নাই? আমি তো সুইডেনের নাগরিক, ওই দেশে থাকতেই তো আমি পছন্দ করি না। তাইলে?’
রেসিডেন্স পারমিট থাকলেও তো ইচ্ছা না হইলে রিসাইড করতে দেয় না সরকার বাহাদুর। আমার তো ছেল রেসিডেন্স পারমিট। ভারতের যে কোনও স্থানে বাস করার অনুমতি তো ছেল। আমারে লাত্থাইয়া ভাগায় নাই কলিকাত্তা থেইকা? ভাগাইছে। ইন্ডিয়া থেইকাও ভাগাইছে। শুধু ভারত থেইকা ভাগাইতে পারে না। কারণ ওইখানে আমার মন পইড়া ছেল। কী হইব নাগরিকত্ব দিয়া? কিছুই না। আইজ আছি, কাইল নাই। আমার হইল যেইখানে রাইত, সেইখানে কাইত।’
‘দুনিয়াডায় এক যাযাবর মুসাফির আমি। আমার মন টাই আমার ঘর বাড়ি। আর কী লাগে এক জীবনে?
Development by: webnewsdesign.com