আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশে ভারী বৃষ্টির ফলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানির বরাতে বিবিসি, রয়টার্স এ তথ্য দিয়েছে। তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার বাসিন্দা। এছাড়াও সেখানে দুই শতাধিক মানুষ তাদের বাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছে।
আবদুল মতিন আরও বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা দরকার।’ তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় সহায়তাকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে রাতের বেলায় উদ্ধার কাজের উপযোগী আলোর ব্যবস্থা না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।
মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা ‘কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন’।
এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে। যদিও আফগানিস্তানে প্রতি বছর মুষলধারে বৃষ্টি এবং বন্যায় অনেক মানুষ মারা যান। বিশেষ করে বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ এলাকায় নির্মিত ঘর-বাড়ি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে অতি বৃষ্টিপাতের এই চিত্র দেখছে মরু দেশগুলো।
Development by: webnewsdesign.com