পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসলামাবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যেখানে এখন চলছে গভীর মানবিক সংকট। আগস্টে তালেবান দখলের পর থেকে অনেক আফগানকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও ইসলামাবাদে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যোগ দেননি। এই আলোচনাটিকে ‘ট্রইকা প্লাস’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখির মতে, আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানে বিশেষ দূতদের সাথেও যোগাযোগ করবেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বৈঠকের শুরুতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে আফগানিস্তান ‘অর্থনৈতিক পতনের দ্বারপ্রান্তে’ এবং তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পশ্চিমা দাতাদের দ্বারা বন্ধ করে দেওয়া অর্থায়ন পুনরায় চালু করতে হবে এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক অবনতি নতুন তালেবান সরকারের দেশ পরিচালনার ক্ষমতাকে ‘গুরুতরভাবে সীমিত’ করবে। তাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা জোরদার অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক তহবিলের প্রবাহ পুনরায় শুরু করা ‘আর্থিক কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার এবং আফগান অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা ও স্থায়িত্বের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার সাথে জড়িত হবে’। এটি পশ্চিমা দেশগুলোকেও উপকৃত করবে বলেও মনে করেন তিনি।
শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, আপনি যদি মনে করেন যে আপনি অনেক দূরে, ইউরোপ নিরাপদ এবং আপনি যে অঞ্চলগুলো কল্পনা করেন সেগুলো সন্ত্রাসবাদ দ্বারা প্রভাবিত হবে না; দয়া করে ইতিহাস ভুলে যাবেন না। তিনি যোগ করেন, আমরা ইতিহাস থেকে শিখেছি এবং আমরা অতীতে করা ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি চাই না।
একজন পাকিস্তানি কর্মকর্তা এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ডনকে বলেছিলেন, ট্রয়কা প্লাস আফগান কর্তৃপক্ষের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হয়ে উঠেছে। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করবে, আফগানিস্তানে মানবিক সঙ্কট ঠেকানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবে এবং সেই সঙ্গে মানবাধিকার, বিশেষ করে নারীর অধিকার রক্ষা করবে।
জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে যে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি অংশ তীব্র খাদ্য ঘাটতিতে আছে। লাখো লোক অনাহারে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
সূত্র : আলজাজিরা
Development by: webnewsdesign.com