চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১নং বৈরাগ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে পশ্চিম বৈরাগ হাজী আব্দুস সালামের বাড়ীর দুই পক্ষের ভূমি বিরোধের জের ধরে মারামারিতে উভয় পক্ষের ১৬জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একপক্ষের ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চেমন আরা বেগমের স্বামী মো: নাছির বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (১) মো: হাবীব (২) আব্দুর রহমান (৩) মো: সোহেল (৪) মো: রাশেদসহ চারজনের নামে ১৪৩/ ৪৪৭/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৩৪ দঃবিঃ ধারা দিয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে লিখা হয়েছে ১২ই সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে জায়গার বিরোধের সূত্র থেকে বিবাদীগণ বাদী পক্ষকে গালিগালাজ ও মারধর করেছে। উভয়পক্ষগণ পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী হওয়ার কারণে ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা করে এলাকার ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সালিশকার নিয়োগ দিয়ে তিনশত টাকার লিখিত স্ট্যাম্পে সালিশী চুক্তি করেন।
সালিশকারগণ বিবাদীপক্ষকে মামলার খরচ ও মামলা প্রত্যাহার করার মর্মে ৯৩ হাজার টাকা খরচবাবদ বাদী পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনশত টাকার ষ্ট্যাম্পে সালিশী রোয়েদাদ দেন। উভয় পক্ষের ঝামেলা মিমাংসা করে দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন এবং ২ ই অক্টোবর ২০১৭ সালে উক্ত মামলা প্রত্যাহারের জন্য আনোয়ারা থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে বাদীর স্বাক্ষরিত আবেদন জমা দেন। কিন্তুু বিষয়টি নিয়ে বাদীপক্ষ আদালতে আপোষনামা না দেওয়ার কারণে আদালত মামলাটির বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তদন্তের প্ররিপ্রেক্ষিতে আনোয়ারা থানা বিবাদীগনকে পলাতক দেখিয়ে তাহাদের বিরুদ্ধে w/p & A ইস্যুর মর্জি চেয়ে অগ্রবর্তী রিপোর্ট প্রদান করেন।
বিষয়টি বিবাদীগন জানতে পারলে সালিশকারগনকে বললে বাদীপক্ষ তাদের কথা না রেখে বেঈমানী করে মর্মে অপারগতা পেশ করেন তখন থেকে তাহাদের মধ্য আবারো শুরু হয় গালাগালি ও মারামারি। সেই সূত্রপাত থেকে আজও পর্যন্ত তাদের মাঝে একপক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে।
গত শনিবার উভয় পক্ষ কথা কাটাকাটির মধ্য শুরু হয় মারামারি এতে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়। ঘটনার বিষয়ে এলাকার প্রতিবেশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তির সাক্ষাৎকার নেওয়া হলে তারা প্রকৃতপক্ষে নাছির গং দের কারণে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান। তারা আরো জানিয়েছেন ঘটনার আগেরদিন রশিদের আত্মীয় নাছিরগং দের বাড়ির সামনে রাস্তাদিয়ে যাওয়ার সময় তারা কুরুচিপূর্ন কথা বলায় ঘটনার মূল সূত্রপাত হয়েছে। নাছিরগংরা আগেও আবুল কাসেমের সাথে একই রকম আচরণ করে ছিল পরে আবুল কাসেম বাদী হয়ে আদালতে সিআর ১৩১/২০০৯ মামলা দায়ের করার পর সমাধানে আসে। তাদের বিরুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ চাঁদাবাজির মামলা করেছে আব্দুল গফুর যার মামলা নং ২৪৩/২০১৬। তারা শুধু এধরনের ঘটনার জন্ম দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এব্যাপারে নাছির গংদের মামলার প্ররিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। এই ঘটনায় আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ১২জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, নাছিরের করা মামলায় তদন্ত করে ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অপর পক্ষ আব্দুর রহমানও আজ একটি মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আসামী আটকের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
Development by: webnewsdesign.com