আদালতে হাজির করার সময় জঙ্গিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারাগারে পুলিশের চিঠি

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ | ৫:৫০ অপরাহ্ণ

আদালতে হাজির করার সময় জঙ্গিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারাগারে পুলিশের চিঠি
আদালতে হাজির করার সময় জঙ্গিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারাগারে পুলিশের চিঠি
apps

সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর, সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে এরই মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কারা সদরদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়— জেলখানা থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানোর নির্দেশনা ছিল। এমতাবস্থায়, জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় জেল কোড অনুযায়ী অবশ্যই ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজনভ্যানে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের ওপর স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে আসামি মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. আ. সবুর ওরফে রাজ ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করেন জঙ্গিরা।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও ৭ থেকে ৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

Development by: webnewsdesign.com