চট্রগ্রামে দুর্ধর্য সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত বিধান বড়ুয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম ফেরদৌস আরার আদালতে আত্মসমর্পন করেন তিনি। চট্রগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যার্নাজী সাংবাদিকদের জানান, অস্ত্র মামলার ২টি ধারায় গত ১২ আগষ্ট মাসে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় বিধান বড়ুয়াকে। এ মামলার আজকে আত্মসমর্পন করেন তিনি। এর পর আদালতে আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত বিধান বড়ুয়ার বাড়ি রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আধার মানিক বড়ুয়া পাড়ায়া, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পর হতে না পারলে ও বিধান ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।
উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও পুর্ব গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ওরফে রাজুর হাত ধরে শুরু হয় তার উণ্খান। আক্তার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বিধানের বিরুদ্বে একটি চুরির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চেয়ারম্যান তাকে শাস্তি দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে বিধান, আক্তার হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। নব্বইয়ের দশকে প্রথমে জাতীয় পার্টি এবং পরে সাকা চৌধুরীর ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) গঠন করেন তিনি ওই দলে যোগ দেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মন জয় করতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বিধান বড়ুয়া। এসময় তিনি নিজের নামে একটি বাহিনী (বিধান বাহিনী) গঠন করে পরো রাউজান এলাকা নিয়ন্ত্রন করতে থাকেন।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করতে থাকে ১৯৯৩ সালে প্রথমেই খুন করেন পূর্ব গুজরার ইউপি চেয়ারম্যান ও তার প্রথম রাজনৈতিক গুরু আক্তার হোসেন কে। পরবর্তী এক দশকে তার বাহিনীর হাতে রাউজানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলোর অন্তত এক ডজনের ও বেশি নেতা কর্মী নিহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ মিয়া, মোহাম্মদ নাছিম, কৃঞ্চ দত্ত, ধনা বৈদ্য, ইকবাল, জামিল, মোহরম আলী, সোহেল, লিটন, ইউসুফ মাস্টার, মোহাম্মদ রফিক পেমুখ। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিধান বড়ুয়ার দাপট অব্যাহত ছিল।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানায়, ২০০৪ সালে অপারেশন ক্লিনর্হাট শুরু হলে বিধান বড়ুয়া আত্মগোপনে চলে যান ২০০৮ সালে বিধান রাউজান ত্যাগ করেন,২০১১ সালে বিধান গ্রেফতার হন।
Development by: webnewsdesign.com