বাংলাদেশকে জাপানের মতো একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই আওয়ামী লীগ হাটছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমাদের উদ্দেশ্য ২০৪১ সাল নাগাদ রাষ্ট্রকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা। একইসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত জাতি গঠন করা। শুধু উন্নত রাষ্ট্র গঠন করলে হবে না, আমরা উন্নত রাষ্ট্র গঠন করার পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। আমরা অন্যদের অন্ধ অনুকরণে উন্নত রাষ্ট্র হতে চাই না।’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার পর পুরো দেশ বিধ্বস্ত ছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেসময় বৈদেশিক আয় শূন্যের কোঠায় ছিল। দুই থেকে তিন কোটি মানুষকে পুনর্বাসন করা খুব সহজ ছিল না। এ মানুষকে পুনর্বাসন করে যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশে ৫০ এর দশকে খাদ্য ঘাটতিতে পরিণত হয়েছিল। তখন চার কোটি সাত লাখ মানুষ ছিল। আর এখন ১৬ কোটি মানুষ। এক ইঞ্চি জমি বাড়েনি। তবু কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। বিদেশেও খাদ্য পাঠানো হয়। এ দেশ এখন পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হতো যদি নেতিবাচক ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি না থাকতো। সবকিছুতে না বলার যে সংস্কৃতি বিরোধীদলের বিশেষ করে বিএনপি যদি না থাকতো, তাহলে আমাদের দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।’
পৃথিবীর সব দেশের রাজনৈতিক মতপার্থক্য আছে এবং থাকবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি। এখানে ভিন্নমত ও সরকারের সমালোচনা থাকবেই। কিন্তু অন্ধ ও একচোখা সমালোচনা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়, রাষ্ট্রের জন্যও ভালো নয়।
সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ ও জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Development by: webnewsdesign.com