সুপারহিরো সিনেমা এখন চলছে না। এ বছর আরো একবার প্রমাণিত হলো- নতুন আইডিয়া আর বুদ্ধিদীপ্ত নির্মাণ না হলে দর্শকদের মনযোগ পাওয়া যায় না। ‘ম্যাডাম ওয়েব’, ‘জোকার ২’, ‘ভেনম: দ্য লাস্ট ড্যান্স’-এর মতো সিনেমাগুলো বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। পুরো বিশ্বের চলচ্চিত্রশিল্প এ বছর কিছুটা ধীরলয়ে চলেছে।
একই কারণে হলিউডের জন্যও বছরটি তেমন ভালো যায়নি। বছরের শুরুতে মুক্তি পাওয়া বেশির ভাগ বড় বাজেটের সিনেমাই হতাশ করেছে। ‘হরাইজন: অ্যান আমেরিকান সাগা- চ্যাপ্টার ১’, ‘হেলবয়: দ্য ক্রুকড ম্যান’, ‘দ্য ফল গাই’, ‘ফিউরিওসা: আ ম্যাড ম্যাক্স সাগা’ সিনেমাগুলোর মতো সিনেমা ব্যবসা করতে পারেনি, কিন্তু অ্যানিমেশন মুভি ভালো ব্যবসা করেছে।
অ্যানিমেশন ‘ইনসাইড আউট ২’, ‘মোয়ানা ২’, ‘ডেসপিকেবল মি ৪’-এর মতো সিনেমাগুলো বেশ সফলতা অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে প্রকাশ পাওয়া জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ইনসাইড আউটের ২য় কিস্তি এ বছরে বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। দক্ষিণ আমেরিকায় এই সিনেমার আয় ‘ডিউন ২’-এর আয়কে ছাড়িয়ে গেছে।
প্রাণহীন বস্তুতে অনুভূতি থাকলে কী হতো? এমন গল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে সিনেমাটি। গাড়ি, ঘরবাড়ি, আসবাব, খাবার, প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে অনুভূতি থাকলে কেমন হতো? সেই চিন্তা থেকেই ইনসাইড আউট অ্যানিমেশন সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে।
অ্যানিমেশন দিয়ে কল্পনার দুনিয়ার নতুন এক গল্প পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়। হাজার হাজার দক্ষ কর্মীর পরিশ্রমের জন্য প্রাণ পায় পর্দায় আঁকা চিত্ররা। গল্পগুলো হয় কল্পনাতীত। এখন শুধু রূপকথার গল্পে সীমাবদ্ধ নেই অ্যানিমেশন সিনেমা। আরো কিছু ব্যবসা সফল অ্যানিমেশন মুভির মধ্যে রয়েছে- ‘ট্রান্সফরমারস ওয়ান’, ‘মোয়ানা ২’, ‘ডেসপিকেবল মি ৪’ ইত্যাদি।
প্রযুক্তির কল্যাণে এখন চেহারায় আবেগের রেখা পর্যন্ত ফুটিয়ে তুলছে নির্মাতারা। অ্যানিমেটেড চরিত্র এবং অভিনয় শিল্পীদের চরিত্রের মধ্যকার সম্পর্ক ও দূরত্ব নিয়ে নেট দুনিয়ায় সারা বছরই আলোচনা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com