ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান তার বিরুদ্ধে আনিত পরিষদের ১৭ জন সদস্য সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন। আজ শনিবার(১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলনে অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান একথা বলেন।
সংবাদ সন্মেলনে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরোও বলেন জেলা পরিষদের প্রায় ৬শ প্রকল্প রযেছে, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি কোথাও কোন দূর্নীতি হয়নি। কেউ তা প্রমান করতে পারবে না। আমি সবচেয়ে বেশী ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্র আসছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর পাটগুদাম মন্দির ভাঙ্গা নিয়ে একটি মহল নোংরা রাজনীতি করছে।
ঐ মন্দিরে আমি ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। একটি প্রকল্পে বারবার অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জেলা পরিষদের ডাকবাংলা ৪২ শতাংশ জায়গার উপর নির্মিত। দীর্ঘদিনের ডাকবাংলা নির্মানে ৪৫ কোটি দরকার। আমার আগের চেয়ারম্যান এড. জহিরুল হক খোকা ৩০ কোটি টাকা রেখেছেন। আমার আমলে ১২ কোটি টাকা বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। এখানে স্বচ্ছতার কোন অভাব নেই। মুজিব বর্ষের জন্য মেম্বারদের একটি প্রকল্প তৈরীর জন্য বললে উনারা ৭কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করে। কেক কাটা অনুষ্ঠানের জন্য ২লাখ টাকা করে প্রতিজন চায়। তাদের ১লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৫ ই আগষ্ট উপলক্ষে জেলা পরিষদ অনুষ্ঠান করেছে।
তিনি স্বজন প্রীতির অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। এখানে লটারির মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ বন্টন করা হয় তাতে কোন গোপনীয়তা নেই। তারাকান্দায় একটি দুতলা মার্কেট নির্মান করে ২৫ লক্ষ টাকা সাশ্রয় করে জেলা পরিষদের ফান্ডে জমা করেছি। তিনি বলেন, আজ আমি সন্তুষ্ট। সংবাদ সন্মলেন উপলক্ষে আমি সাড়ে তিন বছরের উন্নয়ন তুলে ধরতে পেরেছি। এটা আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ সময় ও সফলতা বলে মনে করি।
Development by: webnewsdesign.com