সাবেক ক্রিকেটাররা সংগ্রাম করেছেন বলেই সাকিব-তামিমরা এখন অনেক সুযোগ-সুবিধা পান। এভাবেই একদিন বদলে যাবে দেশের নারী ক্রিকেট কাঠামোও। এমন স্বপ্ন দেখেন নারী টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন।
অনেক জেলাতেই মেয়েদের অনুশীলন কিংবা জিমের পর্যাপ্ত সুবিধা নেই। এ দিকগুলোতে বিসিবি নজর দেবে বলেও বিশ্বাস তার।
এদিকে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বোর্ডের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
নারী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমা বলেন, আকরাম ভাইরা যেটা করে গেছেন, সেটা তারা ভোগ করতে পারেননি। এখন সাকিব-তামিম-মুশফিক ভাইরা ভোগ করছে। তেমনই আমরা যেটা করছি, তাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে।
৩১ বছর বয়সী নারী ক্রিকেটার নিজের জন্য আর ভাবছেন না। ১০ বছর ধরে ভেবে খুব একটা লাভও হয়নি। কতোই তো হাসির পাত্র হয়েছেন। দেশের নারী ক্রিকেটের রূপরেখা যারা বদলাতে চান, তাদের তো সংগ্রামের গল্প থাকবেই।
ক্রিকেটে আসার কথা তুলে ধরে এই অধিনায়ক বলেন, আগে যখন খেলতে যেতাম অনেকে ব্যাড সাউন্ড করত। পরিবার থেকে সাপোর্ট থাকলে প্রতিবন্ধকতা কমে যায়। কিছু কিছু জায়গায় জিম নেই। জেলা পর্যায়ে কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট যত বেশি হবে, তত আমাদের ক্রিকেটের মান ভালো হবে।
আর্থিক দুরবস্থা নিয়েও হইচই কম হয়নি। পুরুষ ক্রিকেটাররা টেস্টে ম্যাচ প্রতি ৬, ওয়ানডেতে ৩ আর টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ করে পেলেও, সালমাদের ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি কোনো ফরম্যাটেই ম্যাচ ফি ছিল না ১০ হাজার টাকাও।
সবশেষ বেতন কাঠামো অনুযায়ী পুরুষদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা তামিম ইকবালের ৬ লাখ ৩০ হাজার ও মুশফিকুর রহিমের মাসিক বেতন ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। অথচ দেশকে প্রথম কোনো ট্রফি এনে দেয়া নারীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্তর এ ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ৫০ হাজার টাকা। এশিয়া কাপ জয়ের আগে যা ছিল আরও কম। এসব যেন সয়ে গেছে সালমাদের।
সালমা খাতুন বলেন, আগে যেটা ছিল, দিনে দিনে সেটা বেড়েছে। আশা করছি, সামনে আরও বাড়বে।
জাতীয় দল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়েও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে বিসিবিকে সুপারিশ করেছে নারী উইং।
বিসিবি নারী উইং চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমরা অল্প অল্প করে তাদেরকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাচ্ছি। তাদের টিএডিএ ও ম্যাচ ফিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নজর দেয়া হচ্ছে। একটা জায়গায় হয়তো খুব বেশি করে বাড়ানো যাচ্ছে না। তবে, প্রতিটা ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
অদূর ভবিষ্যতে হবে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, সত্যি সত্যি উন্নত হবে টাইগ্রেসদের জীবনমান। এই এক স্বপ্ন সংশ্লিষ্টদের।
Development by: webnewsdesign.com