সমাজের অবহেলিত-অনগ্রসর জনগোষ্ঠী দলিত সম্প্রদায়ের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ সকল নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, একটি শ্রেণিকে পিছনে রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রকৃত সুফল অসম্ভব। তাই দলিত জনগোষ্ঠীর সব ধরনের সাংবিধানিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে।
আজ সোমবার রাজশাহীর ডাসকো ট্রেনিং সেন্টারে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের (বিডিইআরএম) উদ্যোগে আয়োজিত ‘ স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনে দলিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, যুগ যুগ ধরে সমাজে দলিতদের প্রতি যে অবহেলা গভীরভাবে প্রোথিত, তাকে উৎখাত করে এ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় আনতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অর্থ বরাদ্দ করলেই হবে না। প্রস্তাবিত ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ দলিতদের জন্য সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তাদের বাসস্থান, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে, দলিত শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে হবে এবং তাদেরকে বিকল্প পেশায় নিয়ে আসতে হবে। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের পাশাপাশি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসমূহকেও দলিতদের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বাদশা।
নাগরিক উদ্যোগ’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিভূতোষ রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী শহর সমাজসেবা অধিদপ্ততরের উপ-পরিচালক হাসিনা মমতাজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাসিকের ৩,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোসা: আয়েশা খাতুন, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা এনামুল হক, শফিউদ্দীন আহমদে, শাহনাজ পারভীন, হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে এক কোটিরও বেশি দলিত সম্প্রদায় রয়েছেন। এর মধ্যে ৫৫ লাখেরও বেশি রয়েছে ঋষি সম্প্রদায়। এছাড়া ৩৫ লাখ চা-শ্রমিক ও ১৬ লাখ হরিজন রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com