বাউফল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করানোর সময় অফিস কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত অর্থ দাবির প্রতিবাদে কর্মবিরতী পালন করছেন মোহরারগণ। আজ সোমবার সকাল থেকে ওই কর্মবিরতী শুরু করা হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত দলিল দাতা ও গ্রহীতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাউফল সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমা তিন সপ্তাহ আগে করোনায় অসুস্থ্য হয়ে ছুটিতে রয়েছেন। তার পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী দুমকি উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলামকে বাউফলে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি প্রতি সপ্তাহে একদিন বা দুই দিন বাউফলে এসে কাজ করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মোহরার জানান, অফিসের কর্মচারীরা প্রতি দলিলের জন্য অতিরিক্ত এক হাজার টাকা দাবি করছেন। অতিরিক্ত টাকা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি করতে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা ধরণের জটিলতার সৃষ্টি করছেন। এরফলে দলিল দাতা ও গ্রহীতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অতিরিক্ত এক হাজার টাকা দাবির প্রেক্ষিতে দলিল লেখকদের সাথে অফিসের মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে এর প্রতিকারের জন্য আমরা কর্মবিরতী পালন করছি। তারা আরো জানান, বিষয়টি এতোটাই স্পর্শকাতর যে, বেশি বারাবারি করলে সাব রেজিস্ট্রার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেত বাউফলে না ও আসতে পারেন।
এরফলে ভোগান্তি আরো বাড়বে। একারণে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনেক অনিয়মের কথা বাহিরে বলাও যায়না। বাউফল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আ. খালেক জানান, বাউফল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তালিকাভূক্ত ৮০ জন মোহরার রয়েছেন। যে অতিরিক্ত টাকা দিয়েছেন সে-ই ভাল বলতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত টাকা চাওয়া বা নেয়ার বিষয়টি নিয়ে অফিস সহকারিসহ অন্যান্যদের সাথে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, সাব-রেজিষ্ট্রার ও অফিসসহকারি পটুয়াখালী মিটিংয়ে গেছেন। তাদের অপেক্ষায় রয়েছি। তারা এলে আমরা বৈঠক করে একটা সুরাহা করবো।
বাউফলে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা সাব-রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম ঘটনা অস্বীকার করে জানান, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এরকম ঘটনা থাকলেতো মোহরারগণ আমার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেন। অফিস সহকারির সাথে মোহরারদের বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।
Development by: webnewsdesign.com